মঙ্গলবার মধ্যরাতে অবসট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুরকার ও গায়ক বাপ্পি লাহিড়ী।  এই রোগে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে মৃত্যু অবধারিত। এছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক না থাকলে অনেক জটিল সমস্যা দেখা দেয়।

আমরা ঘুমিয়ে গেলেও আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রমাগত নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চলতে থাকে। কারণ আমাদের মস্তিষ্কের রেসপিরেটারি সেন্টার সবসময় কাজ করতে থাকে।তবে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো জটিল সমস্যা কারও কারও দেখা যায়। এটিকে স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্লিপ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইনজিনিয়াস পালমোফিট ডা. ফাতেমা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগটি কোনো বিরল রোগ নয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৪ শতাংশ লোক এই রোগে ভোগেন। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২৫ শতাংশ মধ্য বয়সি পুরুষ ও ৯ শতাংশ মধ্য বয়সি নারী স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত। স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, যা কিনা ১০ সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট সময় ধরে থাকে।

এ সমস্যাতে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। এটি একটি প্রাণঘাতী বিষয়। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রভাব প্রথমে পড়ে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্ক জেগে ওঠে এবং ঘুম ভেঙে যায়।

এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা ঘুম ভাঙার পর শ্বাস নেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। খুবই জটিল অবস্থায় সারা রাতে বারবার শ্বাস বন্ধ ও ঘুম ভাঙা এই চক্রটি চলতে থাকে। ফলে ঘুমিয়েও ঘুম পূরণ হয় না।

এ ঘটনাগুলো যেহেতু গভীর ঘুমের মাঝে ঘটছে তাই রোগী তার এই সমস্যা বুঝতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে হয়তো তাদের মনেও থাকে না। যেহেতু বারবার ঘুম ভাঙার ফলে ঘুমিয়ে কখনও ঘুম পূরণ না হওয়ার ফলে সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগে যদি মস্তিষ্কের রেসপিরেটরি সেন্টার থেকে নির্দেশ আসে না তখন একে বলা হয় সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া। এ সমস্যা হলে মস্তিষ্কের নির্দেশ না আসার কারণে ওই সময়ের শ্বাস কাজটি শুরু হয় না। মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই বিভ্রাট ঘটে।

আবার দেখা যায়, মস্তিষ্কের নির্দেশ ঠিকমতোই আসছে কিন্তু শ্বাসনালির প্রবেশ পথে বাধা তখন একে বলা হয় অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় শ্বাসনালির প্রবেশ পথটি স্বাভাবিকের চেয়ে সরু অথবা গলার মাংসপেশি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শিথিল, আবার এই দুটি একসঙ্গে ঘুমের সময় শ্বাসনালির প্রবেশ পথটি বন্ধ করে দেয়। কখনও কখনও সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া ও অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া দুটো একসঙ্গে দেখা দেয়, তখন একে বলা হয় মিক্সড স্লিপ অ্যাপনিয়া।

এ সমস্যাগুলোতে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়।

আমাদের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। অক্সিজেন কমে যাওয়ার প্রভাবে মস্তিষ্ক জেগে ওঠে ও ঘুম ভেঙে যায় এবং ঘুম ভাঙার পর শ্বাস নিতে শুরু করে।

হঠাৎ মস্তিষ্ক জেগে ওঠার প্রভাবে শরীর আপদকালীন হরমোন বা স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে দেয়। একটি পরিতৃপ্তিদায়ক ঘুম আমাদের কর্মদীপ্ত ও কাজে মনোযোগী করে তোলে। স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঘুম হল জীবনের শেষ সময়ের আপদের মতো।

হঠাৎ জেগে ওঠা ও স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে অসংযত হার্টবিটের হার বেড়ে যায় ও ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়, দুর্বল হার্টের তরঙ্গের সমস্যাও দেখা দেয়। স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে ব্লাড সুগার বেড়ে যায়।

এই স্ট্রেস হরমোনটি আমাদের খাদ্য গ্রহণ করার চাহিদাও বাড়িয়ে দেয়। এরই প্রভাবে শরীর মেদবহুল হয়ে পড়ে। প্রদাহ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশ স্ট্রোক, ৭৭ শতাংশ ব্লাড প্রেশার, বুকে ব্যথা ও অসংযত হার্টবিটসহ হার্টের সমস্যা দেখা দেয়, যা কিনা হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

এমনকি স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ৩০ শতাংশ ঘুমের মাঝে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া ডিপ্রেশন, মাথাব্যথা, মানসিক রোগগুলো বেড়ে যায়।

দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব থাকার জন্য গাড়ি চালানো বা কাজের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে ৬০-৮০ শতাংশ গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হল গাড়ি চালানো অবস্থায় ঘুম আসা। ঘুম আসার অন্যতম কারণ হল স্লিপ অ্যাপনিয়া।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত ওজনে ভুগে। এ ছাড়া স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ৮০ শতাংশ মধ্য বয়সি পুরুষ যৌন দুর্বলতাতেও ভুগে।

যারা এই রোগে ভুগছে তাদের মাঝে সাধারণত নিন্মোক্ত উপসর্গগুলো দেখা যায়। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর মাঝে নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যায়। নাক ডাকতে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ থেমে আবার নাক ডাকতে শুরু করে যারা কিনা রোগীকে এ অবস্থায় দেখেছেন তারাই বলতে পারে।

দীর্ঘসময় বিছানায় থাকার পরও ঘুম পুরা হয় না, সারাদিন ঝিমানো ভাব থাকে। কখনও কখনও খবরের কাগজ পড়তে পড়তে বা টেলিভিশন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা গাড়িতে উঠলে ঘুমিয়ে পড়ে প্রায়ই। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পায় যার প্রভাবে অপ্রত্যাশিত ও অনিয়ন্ত্রিত ঘুমিয়ে পড়ার দরুন কর্মক্ষেত্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমের প্রভাব কাটানোর জন্য অনেকে আবার অতিরিক্ত চা, কফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথাব্যথা অনুভব করা, হতাশা লাগা, হঠাৎ রাগ হয়ে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়। এর সঙ্গে আরও দেখা দেয় কথা ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতা, সারাদিন কাজে মনোযোগী হতে পারে না। ক্লাসে মনোযোগ কমে যায় এবং ছাত্ররা ক্লাসে খারাপ করতে শুরু করে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে- নাক ডাকা স্লিপ অ্যাপনিয়ার অন্যতম ঝুঁকি। ৮০ শতাংশ স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগীই নাক ডাকে।

অতিরিক্ত ওজন অন্যতম ঝুঁকি। গবেষণায় দেখা যায়, শুধু ১০ শতাংশ ওজন বাড়লে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে ৬ গুণ।

পঞ্চাশের বেশি বয়সি পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ২৪ শতাংশ মধ্য বয়সি পুরুষদের স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২ গুণ বেশি।

গলার মাপ পুরুষদের জন্য ১৭ ইঞ্চির বেশি এবং নারীদের জন্য ১৬ ইঞ্চির বেশি হলে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

অ্যালকোহল পানে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অ্যালকোহল পানে ২৪ শতাংশ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যারা অ্যালকোহল পান করে না তাদের তুলনায়।

কিছু জন্মগত ত্রুটিও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেমন— ছোট নিচের চোয়াল, পেছনের দিকে ঢুকানো চোয়াল।

এ ছাড়া কিছু রোগের সঙ্গেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, যেমন- হাইপোথাইরয়েড, অ্যাক্রোমেগালি, সিওপিডি, ডাউন্স সিনড্রম, নিউরো মাস্কুলার ডিসিস ইত্যাদি।

বড় টনসিল ও এডিনয়েড থাকলে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

এ রোগ নির্ণয়ের জন্য পলিসমনোগ্রাফি অথবা স্লিপ টেস্ট একটি অন্যতম পদ্ধতি যার মাধ্যমে খুব সহজেই এই রোগটি শনাক্ত করা যায়। স্লিপ টেস্টের মাধ্যমে ঘুমের মাঝের পরিবর্তনগুলো ব্যাপকভাবে ধারণ করা হয়।

এ পরীক্ষাটি দ্বারা ঘুমের মাঝে কখন, কতবার এবং কি ধরনের শ্বাস বন্ধ হচ্ছে তা বোঝা যায়। ঘুমের কোন স্তরে এবং কতক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল শ্বাস বন্ধ তাও জানা যায়। তবে রোগীর পাশে যে ঘুমায় অথবা যারা রোগীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে তাদের বর্ণনা রোগ নির্ণয়ে বড় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ঘুমের মাঝে শ্বাস বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি শরীরে কতবার অক্সিজেনের মাত্রার কিরূপ পরিবর্তন হয়েছে এবং কতটা ব্যাপক আকার ধারণ করছে তাও নির্ণয় করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরের কার্বন-ডাই-অক্সাইড কী পরিমাণ বাড়ল তাও বুঝা যায়।

এই টেস্টটি সারারাত স্লিপ ল্যাবে হয়ে থাকে কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে হোম স্লিপটেস্টও হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি। এই টেস্টটি দিয়ে অ্যাপনিয়া-হাইপো অ্যাপনিয়া ইনডেক্স দেখে রোগের মাত্রা (মৃদু, মাঝারি বা ব্যাপক আকার) নির্ণয় ও চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এই অ্যাপনিয়া-হাইপো অ্যাপনিয়া ইনডেক্স দেখে বোঝা যায়, গড়ে ঘণ্টায় কতবার ঘুমের মাঝে শ্বাস বন্ধ হয়েছে।

এই রোগে সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ জীবন পায়, চিকিৎসা না নিলে দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা যেমন— ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা অনুভব করা, অসংযত হার্টবিট, হার্টঅ্যাটাক, স্ট্রোক, ঘুমের মাঝে মারা যাওয়া, ডিপ্রেশন ইত্যাদি। ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগটি কত জটিল আকার ধারণ করেছে।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার কমে যায়।এজন্য অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে, নাক বন্ধ ও অ্যালার্জির চিকিৎসা নিন। নাক বন্ধ উপশমকারী ওষুধ ব্যবহার, অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার, ঘুমের ওষুধ না খাওয়া, চিৎ হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমানো, ঘুমের মাঝে চিৎ না হওয়ার জন্য পিঠের নিচে বালিশ ব্যবহার করা, ক্লান্ত ও ঘুম পাওয়া অবস্থায় গাড়ি অথবা ভারি মেশিনারিজ অপারেট না করা।

এছাড়া আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বহুল প্রচলিত চিকিৎসা হল পিএপি ডিভাইসের ব্যবহার। এই মেশিনটি দ্বারা ঘুমের মাঝে শ্বাস বন্ধ সমস্যাটি দূর করা যায়। দুই ধরনের ডিভাইস আছে, একটি সিপিএপি আর একটি বিপিএপি।

সিপিএপি মেশিনটি দ্বারা একটি নির্দিষ্ট চাপে বাতাস প্রবাহ হয়, যা রোগীর নাক বা নাক মুখ দিয়ে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে বাধা দেয়। বিপিএপি মেশিনটি দ্বারা দুই ধরনের চাপে বাতাস প্রবাহিত হয়। একটি অক্সিজেনের ঘাটতি কমাতে ও অপরটি কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করতে সহায়তা করে। তবে কোন রোগীর জন্য কোন ডিভাইসটি প্রয়োজন, সেটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নির্ধারণ করবেন।

আজকাল ডেন্টিস্টরা মুখে রাখার কিছু ছোট ডিভাইস তৈরি করে দেয়, যা স্লিপ অ্যাপনিয়া কমাতে সাহায্য করে। আবার স্লিপ অ্যাপনিয়াতে কিছু সার্জারি করার প্রয়োজন পড়ে, যেমন- বাচ্চাদের যদি বড় টনসিল ও অ্যাডিনয়েড থাকে, তবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। এদের সার্জারি করলে উপকার পাওয়া যায়। যাদের চোয়াল অথবা উপরের তালু বিকৃত হয়, তাদের জন্য অন্য সার্জারির প্রয়োজন পড়তে পারে। কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন রোগীর জন্য প্রযোজ্য সেটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

 

কলমকথা/বিসুলতানা